ইসলামী খিলাফতের ইতিহাস (টুকরো অংশ)
ইসলামী জ্ঞানের মূল উৎস হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ। এর পরেই রয়েছে সীরাত, নবীজি (ﷺ)-এর জীবনী। এবং, তারপরে হচ্ছে খুলাফায়ে রাশেদীনের জীবনী। সঠিক দিশাপ্রাপ্ত চার খলীফাদের জীবনী নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে জানতে পারলে ইসলামের স্বর্ণযুগের ইতিহাস অনেক ভালোভাবে জানা হয়ে যায়।
![]() |
প্রতীকী চিত্রঃ কোরআন |
ইসলামের প্রথম খলিফা কে ছিলেন? এই প্রশ্নের জবাবে সবাই একটা নামই বলবে, আবু বকর (রাঃ)। তবে মজার বিষয় হল, উনার আসল নাম ‘আব্দুল্লাহ’। ‘আবু বকর’ তাঁর উপনাম। এই তথ্যটা এতদিন অজানাই ছিল। কথিত আছে, আবু বকর (রাঃ) এর মায়ের কোন সন্তান বাঁচত না। তবে আবু বকর (রাঃ) এর ঘটনা ছিল ব্যতিক্রম। যার কারণে তাঁর মা আল্লাহর কাছে এই দুয়া করেন তিনি যেন তাঁর দ্বারা কল্যাণ দান করেন। আসলেই আর উনার দ্বারা পুরা উম্মতের এমন কল্যাণ সাধিত হয়েছে যা কোন কিছু দিয়ে পরিমাপ করা যাবে না।
একটা উদাহরণ দিয়ে ইসলামের ইতিহাসে উনার অপরিহার্যতাকে প্রমাণ করা যায়। রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন ইন্তেকাল করলেন তখন অনেক বড় বড় সাহাবী হতবম্ব হয়ে পড়লেন। উমর (রাঃ) বিশ্বাসই করতে পারেননি, উসমান (রাঃ) নির্বাক হয়ে গেলেন, আলী (রাঃ) আত্মগোপনে চলে গেলেন – সব মিলিয়ে এক হযবরল অবস্থা। কেবল আবু বকর (রাঃ) ছিলেন ব্যতিক্রম। পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে উনি কুরআনের এমন এক আয়াত বললেন যা শুনে একটা কথায় বলা যায়, উনি সবার চেয়ে জ্ঞানী এবং একই সাথে স্থিরবুদ্ধি সম্পন্ন সাহাবী ছিলেন। তিনি বলেন,
“মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল বৈ আর কিছুই নন। তার পূর্বে অনেক রাসূল অতিবাহিত হয়েছেন। যদি তিনি মারা যান বা নিহত হন, তাহলে কি তোমরা ইসলাম থেকে ফিরে যাবে?……………” [আলে ইমরান ১৪৪]