শরীআতের আকীদা বিরুদ্ধ কয়েকটি লক্ষণ ও কুলক্ষণের তালিকা।
ইসলামে সুলক্ষণ বা কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই৷ ইসলামী শরীয়াহ এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। তাই আমাদের এসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নিচে প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত ধারণা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে৷
১। হাতের তালু চুলকালে অর্থ-কড়ি আসবে মনে করা।
২। চোখ লাফালে বিপদ-আপদ আসবে মনে করা।
৩। কুকুর কাঁদলে রােগ মহামারী আসবে মনে করা।
৪। এক চিরুনিতে দু'জন চুল আঁচড়ালে উক্ত দু'জনের মধ্যে ঝগড়া লাগবে মনে করা।
৫।কোন বিশেষ পাখি ডাকলে মেহমান আসবে মনে করা।
৬। যাত্রা পথে পেছন থেকে কেউ ডাকলে খারাপ মনে করা।
৭। যাত্রা পথে হোঁচট খেলে বা মেথর দেখলে বা কালো কলসি দেখলে, কিংবা বিড়াল দেখলে কুলক্ষণ মনে করা।
৮। অমুক দিন যাত্রা নাস্তি, অমুক দিন বিবাহ নাস্তি, অমুক দিন ভ্রমণ নাস্তি ইত্যাদি বিশ্বাস করা। মােটকথা কোন দিন সময় বা কোন মুহূর্তকে অশুভ মনে করা।
৯। যাত্রার মুহূর্তে কেউ তার সামনে হাঁচি দিলে কাজ হবে নাএরূপ বিশ্বাস করা।
১০। পেঁচা ডাকলে ঘর-বাড়ি বিরান হয়ে যাবে মনে করা।
১১। জিহ্বায় কামড় লাগলে কেউ তাকে গালি দিচ্ছে বা কেউ তাকে স্মরণ করছে মনে করা।
১২। চড়ই পাখিকে বালুতে গােসল করতে দেখলে বৃষ্টি হবে মনে করা।
১৩। দোকান খােলার পর প্রথমেই বাকি দিলে সারা দিন বাকি বা ফাঁকি যাবে মনে করা। বরং প্রথমেই সহযােগিতার নিয়তে কাউকে বাকি দিলে মানুষকে সহযােগিতার ছওয়াব ও বরকতে তার ব্যবসয ভাল হতে পারে।
১৪। কোন লােকের আলােচনা চলছে, ইত্যবসরে বা কিছুক্ষণ পরে সে এসে পড়লে এটাকে তাকে দীর্ঘজীবি হওয়ার লক্ষণ মনে করা।
১৫। কোন ঘরে মাকড়সার জাল বেশী হলে উক্ত ঘরের মালিক ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়বে মনে করা।
১৬। আসরের পর ঘরে ঝাড় দেয়াকে খারাপ মনে করা।
১৭। ঋাড়ু দ্বারা বিছানা পরিষ্কার করলে ঘর উজাড় হয়ে যাবে মনে করা।
১৮। কোন বাড়িতে বাচ্চা মারা গেলে সে বাড়িতে গেলে নিজের বাচ্চাও মারা যাবে মনে করা।
১৯। ঝাড়ুর আঘাত লাগলে শরীর শুকিয়ে যাবে মনে করা।
২০। কোন প্রাণী বা কোন প্রাণীর ডাককে অণুভ বা অশুভ লক্ষণ মনে করা।
বিঃ দ্রঃ এরূপ আরও বহু গলত আকীদা রয়েছে, উদাহরণ স্বরূপ কয়েকটি উল্লেখ করা হল। ইসলামি আকীদাহ সম্পর্কে জানতে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) রচিত আল ফিকহুল আকবর বইটি পড়তে পারেন।