ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি : একজন সংগ্রামী আলেমের জীবনকথা

ইমাম রাজির জন্ম পারস্যের রাই শহরে— বর্তমানে এলাকাটি ইরানের রাজধানী তেহরানের অন্তর্গত। পাঁচশো তেতাল্লিশ বা চুয়াল্লিশ হিজরী মোতাবেক ১১৪৯ খৃস্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। [১]  সে হিসেবে এ বছর বা আগামী বছর তাঁর জন্মের নয়শ বছর পূর্ণ হচ্ছে। তাঁর বাবাও ছিলেন রাই শহরের প্রসিদ্ধ আলেম—মুফতি, ওয়ায়েজ ও শিক্ষক। গায়াতুল মারাম নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ কিতাব লেখেছেন তিনি—ইমাম সুবকি বলেন, এটি তৎকালীন সুন্নি ধারার অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ও গবেষণামূলক কিতাব। ইমাম রাজির প্রথম শিক্ষক ছিলেন তাঁর বাবা—তিনি তাঁর লেখাজোখায় বাবার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। বাবাকে তিনি আল ইমামুস সাঈদ বলে অভিহিত করতেন।  [২] 

সামাজিক প্রেক্ষাপট ও উত্তরাধিকার 

ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি
প্রতীকী চিত্রঃ
ইমাম রাজি ইসলামের পতন যুগের মানুষ। একদিকে অপেক্ষমান তাতারদের হামলা, অপরদিকে রক্তপিপাসু ক্রুসেডার যোদ্ধা। পাশাপাশি নানামুখী অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত ছিল মুসলিম বিশ্বের পূর্বাঞ্চল। দুর্বল আব্বাসি খেলাফত—শিয়া-সুন্নিদের মধ্যে আত্মকলহ, শিয়া মন্ত্রীদের স্বেচ্ছাচারিতা ও ছোট ছোট কয়েকটি রাষ্ট্র ; সালজুকি, গজনবি ও খাওয়ারেজমি সালতানাত। পাশাপাশি  ইসমাইলি গুপ্ত সংঘ। এই গৃহকোন্দলে তখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল আকিদা ও চিন্তাগত অস্থিরতা। [৩]   

ইতিহাসের এই জটিল মুহূর্তে ইমাম রাজি তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে ছিলেন অত্যন্ত সচেতন। তিনি বুঝেছিলেন রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গৃহকোন্দল রোধ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়—তিনি করে গেছেন চিন্তার মোকাবেলা। তিনি তৈরি করে গেছেন পরবর্তী মোকাবেলার ভিত। যদি উনিশ শো চব্বিশে খেলাফত পতনের হিসাব ধরি, তবে তাঁর মৃত্যুর পরেও সাতশো বছর ঐতিহ্যবাহী মুসলিম সভ্যতা টিকে ছিল। এ সময়ের চিন্তাগত ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানত তিনজন ব্যক্তি  :  ইমাম জুয়াইনি, ইমাম গাজালি ও ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি। 

তারাই সবচেয়ে শক্তিশালী আলেম—এটা মোটেই বলা হচ্ছে না। বরং তারা ছিলেন পরবর্তী সময়ের মুসলিম প্রকল্পের প্রধান বুদ্ধিজীবী ও দার্শনিক : ইলমি ভাষায় ইমাম ও মুজাদ্দিদ আলেম। বিশেষত পরবর্তী আইয়ুবি, মামলুকি ও উসমানি শাসনকাঠামোতে  ইমাম রাজির অবদান খুবই স্পষ্ট। পাশাপাশি মামলুকি ও উসমানি সভ্যতার আলেমরাও ছিলেন প্রধানত তাঁর চিন্তা ও দর্শনের অনুসারী। [৪]   তিনি শেষজীবন কাটিয়েছেন আফগানিস্থানের হেরাতে। উপমহাদেশের মূলধারায় কিছু ব্যতিক্রমসহ আলেমদের মধ্যেও তাঁর প্রভাব স্পষ্ট। জামেয়া আজহার, জাইতুনা ও দেওবন্দ মূলত তাঁর চিন্তার অনুসারী। দরসে নেজামিতে দর্শনচিন্তায় তার প্রভাব খুবই স্পষ্ট। 

দরসে নেজামিভুক্ত [৫]  হেদায়াতুল হিকমতের লেখক আছিরুদ্দিন আবহারি ছিলেন তাঁর সরাসরি ছাত্র।  [৬]  অনেকে প্রশ্ন করেন, দরসে নেজামিতে কালামি কিতাব এত কম কেন—এর উত্তর হচ্ছে, পরবর্তী যুগের আলেমদের মধ্যে দর্শন ও কালামের সীমা ঘুচে গিয়েছিল—ইবনে খালদুন যেমন বলেছেন।  [৭] ফলে দরসে নেজামিভুক্ত দর্শনের কিতাবগুলো মূলত কালামের কিতাব হিসেবেই পাঠ্যভুক্ত।

পাশাপাশি গিয়াছুদ্দিন ঘুরি ইমাম রাজিকে মাদরাসা তৈরি করে দেন। ঘুরি সাম্রাজ্যে তাঁর প্রভাব বিস্তারিত হয়।  [৮] পরবর্তীতে ঘুরি সাম্রাজ্য ভারত দখল করে। গিয়াছুদ্দিন ঘুরি ছিলেন কারামিয়া ধারার অনুসারী। ইমাম রাজি তাকে সহি ইসলামে দীক্ষিত করেন।  [৯]  তাঁর প্রবল প্রভাবের ভিত্তিতেই শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবি নিজেকে হানাফি আশায়েরি বলে পরিচয় দিতেন। এভাবে ভাবলে দেখা যাবে ইমাম রাজি আমাদের চিন্তার অন্যতম প্রধান পুরুষ।  


সংস্কার প্রস্তাবনা

ইমাম রাজি কীভাবে ছিলেন আমাদের চিন্তার অন্যতম প্রধান পুরুষ—ইবনে খালদুন তাঁর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলে রাখা ভালো খালদুন নিজেও ইমাম রাজির মুগ্ধপাঠক ছিলেন—উনিশ বছর বয়সে তিনি রাজির গুরুত্বপূর্ণ কিতাব মুহাসসালের সংক্ষিপ্তসার সংকলন করেন। [১০]  খালদুন লেখেন,তৎকালীন সময়ে মুসলিম চিন্তার মূলধারা জড়তায় আক্রান্ত হয়ে গেছিল। আশায়েরি ধারায় অনেক দুর্বল যুক্তি ঢুকে গেছিল, তাতে বাতিল ফিরকাগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতার পেছনে এই বাতিল ফেরকাগুলোর ভূমিকা মোটেই কম ছিল না। 

বড়রা বলে গেছেন এই দোহাইয়ে অনেকে এই দুর্বল মত ও যুক্তিগুলো তুলে ধরতে সক্ষম হচ্ছিলেন না। ইমাম গাজালি ও রাজি এই প্রতিবন্ধকতা দূর করেছেন। [১১]  তারা শুধু এই প্রতিবন্ধকতাই দূর করেননি, পাশাপাশি সমকালীন সব বড় বাতিল ফেরকার ভিত্তি ধ্বসিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে ইমাম রাজির চিন্তা এতটাই সুগঠিত ছিল যে তার আলোচনাকে এককভাবে ধর্মীয় বা দার্শনিক—কোন একক শিরোনাম দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। [১২]  খালদুনের ভাষায় পরবর্তীরা ব্যতিক্রম ছাড়া তাদের অনুসরণ করে গেছেন। ফ্রেঞ্চ প্রাচ্যবিদ লুইস গারদে  মুসলিম ও খৃস্টীয় ধর্মীয় দর্শন চিন্তার ইতিহাস বইয়েও এই মত প্রকাশ করেন। [ ১৩ ] 

যে কোন সভ্যতার উত্থানে দার্শনিক বীজ থাকা অত্যন্ত জরুরী, ইমাম গাজালি-রাজি ছিলেন পরবর্তী মুসলিম সভ্যতার অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। আজকাল কেউ কেউ মামলুকি, উসমানি ও মোঘল শাসনামলের অবদান অস্বীকারের চেষ্টা করেন। একই কায়দায় তারা অস্বীকার করেন ইমাম গাজালি-রাজির উত্তরাধিকার।  মনে রাখা জরুরী যে, তাদেরকে অস্বীকার করার মানে শুধু তাদেরকেই অস্বীকার করা নয়—মুসলিম ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশকে অস্বীকারের নামান্তর। 


সংস্কার কার্যক্রম 

ইমাম রাজি প্রয়োজনীয় বিষয়ে গ্রন্থ-পুস্তিকা রচনাতেই সীমিত থাকেননি, প্রচারণাতেও নেমেছেন। মুনাজারা-বিতর্কে অংশগ্রহণ করেছেন। এতে বিরোধী ও বাতিল গোষ্ঠীগুলো তাঁর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগে যায়। বিকল্প হিসেবে তিনি স্থানীয় শাসকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চেষ্টা করেন। অর্থাৎ তিনি ধর্মীয় বিতর্ক-মুনাজারাতেই সচেতন ছিলেন না, ক্ষমতাকাঠামো বিষয়েও টনটনে সতর্ক ছিলেন। এভাবে তিনি মুসলিম পূর্বাঞ্চলে  বিরোধী ও বাতিল গোষ্ঠীগুলোর ভিত্তি ধ্বসিয়ে দেন। [১৪] 

পড়াশোনা শেষ করেই তিনি খাওয়ারেজমে চলে যান মুতাজেলাদের সাথে বিতর্কে নামতে—প্রচণ্ড ব্যক্তিআক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে তিনি আবার রাইয়ে চলে আসেন। [১৫]  পাঁচশো আশি হিজরির পর তিনি মাওরাআন নাহার অঞ্চলে যান—তিন বছর সেখানেই কাটান ; বুখারা, সমরকন্দ ও তুসসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। তিনি এখানেও ব্যক্তিআক্রমণের প্রাবল্য দেখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। [১৬] 

পরবর্তীতে তিনি চলে আসেন ঘুরি সাম্রাজ্যে ; কারামিয়া দলের প্রভাব ঠেকান। মসজিদের মিম্বার থেকে কারামিয়া প্রধানের সমালোচনা করায় কারামিয়া অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তিনি দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। [১৭]  শেষে তিনি চলে যান খাওয়ারেজমি সাম্রাজ্যে বাদশার ছেলের শিক্ষার দায়িত্বগ্রহণ করেন, পাশাপাশি ছেলে মুহাম্মদ তেকিশ দায়িত্বগ্রহণ করলে তিনি রাষ্ট্রীয় পরামর্শকের পদে অভিষিক্ত হন। [ ১৮] 

তবে অব্যাহত বিতর্ক-মুনাজারায় অংশগ্রহণের প্রেক্ষিতে বিরোধী পক্ষ কখনোই তাকে নিরাপত্তাগত ভাবে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। মৃত্যুশয্যায় তিনি নিজ ঘরেই দাফন করার ওসিয়ত করেন। কেননা জনবিরান অঞ্চলে দাফন করলে শত্রুপক্ষ তাঁর দেহ উঠিয়ে নিয়ে যাবে—এমন বিশেষ আশঙ্কা ছিল তাঁর মধ্যে। [ ১৯]  


অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা 

ইমাম রাজি রাজনীতিবিদ ও শাসকদের সাথে সম্পর্ক রাখলেও নিজে ছিলেন অত্যন্ত স্বাধীনতাচেতা। শাসকরা তাকে অন্যায় ও নতজানু অবস্থানে ঠেলে দিতে পারত না। ঐতিহাসিক সাফাদি বর্ণনা করেন, এক শাসক তাঁর জন্য একটা পুস্তিকা লেখতে অনুরুধ করলে ইমাম রাজি বলেন, আমি লেখব। শর্ত হচ্ছে, আমার মজলিসে এসে পুস্তিকাটি পড়তে হবে। মজলিসে অংশগ্রহণ করতে হবে। বাদশা তাঁর শর্ত মেনে নেন। বাদশা আগে এসে দাড়িয়ে থাকতেন, ইমাম রাজির জুতা নিয়ে দরসে বসতেন। [২০]   শিহাবুদ্দিন ঘুরি একবার তাঁর আলোচনায় আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন, বলে উঠেন রাজি মালিক আমাকে ক্ষমা-সাহায্য করুন। এটি ছিল সীমালঙ্ঘন—মাখলুকের কাছে কেউ এভাবে সাহায্য চাইতে পারে না। ইমাম রাজি বাদশাকে নরমভাষায় বললেন, যেমন আপনার সালতানাত চিরস্থায়ী নয়, এই বান্দা রাজির ধাঁধাও কেটে যাবে, স্থায়ী হবে না। [২১] 

ইমাম রাজি ছিলেন বড় ব্যবসায়ী। কাপড়ের কারখানা ছিল তাঁর। ইবনে হাজারের বর্ণনা মতে কারখানার কারিগর ছিল প্রায় পঞ্চাশের ওপরে। [২২]  ইবনে ইমাদ হাম্বলির হিসাব মতে [২৩]  ইমাম রাজি মৃত্যুর সময় বর্তমানের হিসেবে প্রায় তেরো মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেখে যান। বাংলাদেশের হিসেবে ধরলে টাকার অংকটা অনেক বড় : শত কোটির ওপরে। ইমাম রাজি চিকিৎসক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ইবনে আবী উসাইবিয়া চিকিৎসক কোষে লেখেন, দরস চলাকালীন সময়ে ইমাম রাজির দুইপাশে তরবারি দাড়িয়ে থাকতো ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত করেছিলেন। [২৪] 

Tag: ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি : একজন সংগ্রামী আলেমের জীবনকথা

Reference:  
১)  শাজারাতুজ জাহাব ( খণ্ড পাঁচ, পৃষ্ঠা ২১) ; বেদায়া-নেহায়া ( খণ্ড ১৩, পৃষ্ঠা ৫৫) 
২) তাবাকাতুশ শাফেঈয়াহ ( খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২৮৫) 
৩) আল মুনতালাকাতুল ফিকরিয়া ইনদাল ইমাম আল ফাখর আর রাজি ( পৃষ্ঠা ১৪) 
৪)তারিখু মুখতাসারিদ দুয়াল ( পৃষ্ঠা ২২৩) 
৫)আস সাকাফাতুল ইসলামিয়াহ ফিল হিন্দ ( পৃষ্ঠা ১৯)
৬) তারিখু মুখতাসারিদ দুয়াল ( পৃষ্ঠা ২২৩) 
৭)মুকাদ্দিমাতুবনু খালদুন ( পৃষ্ঠা ৫১৪) 
৮) জাহাবিকৃত তারিখুল ইসলাম ( খণ্ড ৪২, পৃষ্ঠা ২২)  
৯) প্রাগুক্ত ( খণ্ড ৪২, পৃষ্ঠা ২২-২৩)   
১০) আল মুনতালাকাতুল ফিকরিয়া ইনদাল ইমাম আল ফাখর আর রাজি ( পৃষ্ঠা ২৪)
১১) মুকাদ্দিমাতুবনু খালদুন ( পৃষ্ঠা ৫১৪)
১২)প্রাগুক্ত ( পৃষ্ঠা ৫১৪)
১৩)আল মুনতালাকাতুল ফিকরিয়া ইনদাল ইমাম আল ফাখর আর রাজি ( পৃষ্ঠা ২৬)
১৪)আল মুনতালাকাতুল ফিকরিয়া ইনদাল ইমাম আল ফাখর আর রাজি ( পৃষ্ঠা ১৬)
১৫)তাবাকাতুশ শাফেঈয়াহ ( খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৩৫) 
১৬)আল কামিল ফিত তারীখ ( খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৫৯)
১৭)জাহাবিকৃত তারিখুল ইসলাম ( খণ্ড ৪২, পৃষ্ঠা ২২)
১৮)ওফাইয়াতুল আইইয়ান  ( খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২৫০) 
১৯)আল মুনতালাকাতুল ফিকরিয়া ইনদাল ইমাম আল ফাখর আর রাজি ( পৃষ্ঠা ১৬) 
২০)আল ওয়াফি বিল ওফায়াত ( খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ১৭৯) 
২১)তাবাকাতুশ শাফেঈয়াহ কুবরা ( খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ৮৯) 
২২)লিসানুল মিজান ( খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৪২৭) 
২৩)শাজারাতুজ জাহাব ( খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ৪০) 
২৪) মাসালিকুল আবসার ফি মামালিকিল আমসার ( খণ্ড ৯, পৃষ্ঠা ১১৪ )  

Tag: ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি : একজন সংগ্রামী আলেমের জীবনকথা

Post a Comment

Previous Post Next Post