ইমাম আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহ।

ইমামে আজম, যুগশ্রেষ্ঠ ফকিহ। আসল নাম নুমান। উপনাম আবু হানিফা। পিতার নাম সাবিত। পুরাে নাম নমান ইবনু সাবিত ইবনি যুতি আল-মারযুবান।

তিনি পারসিক বংশােদ্ভূত এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষগণ বর্তমান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের অধিবাসী ছিলেন। তার দাদা যুতি খলিফাতুল মুসলিমিন উমার রাযিয়ালাহু আনহুর শাসনামলে ইসলাম গ্রহণ করেন। অতঃপর কাবুল ছেড়ে ইরাকের অন্তর্গত বিখ্যাত কুফা নগরীতে। 

ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহল্লাহর দৌহিত্র ইসমাইল ইবনু হাম্মাদ বলেন, আল্লাহর শপথ! আমাদের বংশের কেউ কখনাে দাসত্বের শিকার হয়নি। আমার দাদা ৮० হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে একবার আমার পরদাদা চতুর্থ খলিফা আলি রাযিয়াল্লাহ্ আনহুর নিকট গমন করেন। তখন আলি রাযিয়াল্লাহ্ আনহু তার এবং তার বংশধরদের জন্য বরকতের দুআ করেন। আমাদের বিশ্বাস, আল্লাহ তাআলা আলি রাযিয়াল্লাহ্ আনহুর এই দুআ কবুল করেছেন।


আবু আব্দিল্লাহ ইবনু আহমাদ ইবনি কিদাম বলেন, পরবর্তী সময়ে আলি রাযিয়াল্লাহু আনহুর দুআর প্রতিফলন ঘটে। বড় বড় খলিফা, বাদশা, আলিমগণ দ্বীন ও ফিকহের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহকে অনুসরণ করেন।


একবার কুফা নগরীর বিশাল ছাগলের পালের মধ্যে একটি অপহৃত ছাগল মিশে গেল। তিনি লােকদের জিজ্ঞেস করলেন, একটি ছাগল কয় বছর বাঁচে? বলা হলাে, সাত বছর।এরপর তিনি ওই সাত বছর ছাগলের গােশত খাওয়া থেকে বিরত ছিলেন।


মুওয়াফফাক আল-মাককি বর্ণনা করেন, 'আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ ইবনু হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রাহিমাহুল্লাহর নিকট ইমাম আবু হানিফার কথা আলােচনা করা হলে তিনি বলেন, আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন! মানুষের হক আদায়ে তিনি ছিলেন বদ্ধপরিকর। প্রধান বিচারপতির পদ গ্রহণের জন্য তাকে ১০০টি বেত্রাঘাত করা হয়েছিল; তবু তিনি অবিচার ও সরকারি তােষামােদে লিপ্ত হবার ভয়ে এই পদ গ্রহণে সম্মত হননি!

এই ছিল আমাদের আকাবীরদের জীবন গাঁথা। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা যেন নিজেদের জীবনকে সাজাই৷ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কাহিনী পৌছুতে হবে আমাদেরই৷ 


Tag: ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর জীবনী। ইমামে আজম আবু হানিফা রহিমাহুল্লাহ।

أحدث أقدم