মধ্যযুগে ইসলাম যেমন দ্রুততার সাথে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছিলো তেমনি এর সাথে যুক্ত হচ্ছিলো নিত্য নতুন সমস্যা। বিভিন্ন জাতি, বর্ণের মানুষ ইসলামে প্রবেশ করছিলো। এতো সভ্যতা, সংস্কৃতির মাঝে নওমুসিলমরা ইসলামের বিশদ জ্ঞান তো দূরের কথা, মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কেই অজ্ঞ থেকে যাচ্ছিলো।পাশাপাশি সমকালীন বিজ্ঞান, দর্শন ও ধর্মের প্রভাব থেকেও তারা মুক্ত ছিলো না। এদিকে সুযোগ বুঝে কাফির, মুনাফিকরা নিজেদের মতামতকে ইসলামের নামে প্রচার শুরু করে। এসবের সাথে যুক্ত হয়েছিলো শাষকদের খামখেয়ালিপনা।
![]() |
প্রতীকী চিত্রঃ সূর্য উদয় |
তারা নিজেদের স্বার্থে দ্বীন ব্যবহার করা শুরু করে। যেসকল আলেম, সাহাবি রা. এসবের বিরোধিতা করতো তাদেরই প্রাণ হারাতে হতো। কিন্তু, আব্বাসি খিলাফাহ শুরু হওয়ার পর এই দৃশ্য বদলাতে শুরু করে। তারা আলেমদের প্রতি খুবই আন্তরিক এবং সম্মানসূচক ব্যবহার করতো। মূলত এসময়েই ইসলামি ফিকহ শাস্ত্র ধীরে ধীরে বিকশিত হতে থাকে এবং একটা পর্যায়ে এটি হাদিস শাস্ত্র থেকে আলাদা হয়ে স্বতন্ত্র শাখা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। যাদের কল্যানকামী মনোভাব, ত্যাগ, শ্রমের বিনিময়ে এই ফিকহ শাস্ত্র পূর্ণতা লাভ করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- ইমাম আবু হানিফা (রহি.), ইমাম মালিক (রহি.), ইমাম শাফেয়ি (রহি.), ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহি.), হাসান আল-বাসরি (রহি.), আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রহি.)। যাদের গভীর জ্ঞান, বুদ্দ্বিমত্তা, ইসলামি আইন শাস্ত্রে অবদান এবং যুগপোযোগী সমস্যার সমাধানের জন্য তাঁরা আজ ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালি পন্ডিত হিসেবে বিবেচিত।