মর্দে মুজাহিদ বারকে খান

মহাবীর বারকে খান  বারকে খান।

বারকে খান, গোল্ডেন হোর্ডের অধিপতি এবং প্রথম মোঙ্গল নেতা যিনি ইসলামের সুশীতল ছায়ায় নিজেকে প্রশান্ত করেন। বারকে খান মুসলিম বিশ্বের জন্য আজীবন স্বজাতির সাথে লড়েছেন। মিসরের মামলুক সুলতান বাইবার্সের সাথে মিত্র গড়ে কখনো সরাসরি মোঙ্গলদের সাথে লড়েছেন কখনো কুটনৈতিক ভাবে মোঙ্গলদের নিজেদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে তাদেরকে দুর্বল করেছেন।


জন্মঃ

বারকে খানের (অথবা বিরকায়; মঙ্গোলীয়: Бэрх хаан, তাতার: Бәркә хан) জন্ম হয়েছিল চেঙ্গিস খানের বড় ছেলে জোচি খানের ঘরে। তার জন্মের বছর সম্পর্কে তেমন সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। বারকে খানের জন্মের বছর নিয়ে দুটি আলোচনা পাওয়া যায়,


১. মামলুক রাষ্ট্রদূতরা ৬৬৩ হিজরিতে দেখা করতে গিয়ে বারকে খানের বয়স তখন ৬৫ বরে বর্ণনা করেন। সেই মতে তার জন্ম ১২০৭-১২০৯ এর মধ্যে।


২. কিন্তু সমসাময়িক পারসিয়ান কাল্পনিক জুজনানী দাবি করেন তার জন্ম ১২১৯-১২২১ এর মধ্যে হয়েছে। পরবর্তীতে ইতিহাসবিদ জিন রিচার্ড তার দাবিকে যুক্তিসম্মত বলে উপস্থাপন করেন। তার মতে বারকের মা খাওয়ারিজমের দ্বিতীয় মুহাম্মাদের বন্দী কন্যা সুলতান খাতুন। আর জোচি ও সুলতান খাতুনের বিয়ে সম্পন্ন হয় ১২২০ সালের দিকে যার ফলে বারকের জন্ম ১২২০ এর পরেই হবে।


বারকে খানের পিতা জোচি খানঃ

জোচি খান ছিলেন একজন তুখোড় যোদ্ধা। তিনি চেঙ্গিস খানের সাথে মধ্য এশিয়া জয় করায় ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন। সে সময় মুসলিম বিশ্বে আক্রমন কালে জোচিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তিয়েনশানের ফারগানায় জালাল উদ্দিনকে আটকে রাখতে যেন পিছন থেকে মোঙ্গল আর্মির উপর ঝাপিয়ে পরতে না পারে। কাজ সুন্দরভাবে সমাধার পর জসিকে উপহার দেয়া হয় বুখারা। জোচি খান ছিলেন অন্য মোঙ্গলদের চেয়ে উদার প্রকৃতির। তাই তিনি বুখারার মানুষদের সাথে মানবিক আচরন করলেন। যার কারণে তাকে বুখারার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে ওগেদাইকে দিয়ে চেঙ্গিস খান বুখারায় রক্তগঙ্গা বইয়ে দিলেন।

চেঙ্গিস খানের রক্ত-নীতির সাথে জোচি খান মানানসই না হওয়ায় জ্যেষ্ঠ সন্তান হওয়ার পরেও পরবর্তী গ্রেট খান হওয়া তার কপালে ছিল না এবং হয়েছিলও তাই। তৎকালীন মঙ্গল রাষ্ট্রের সর্বাপেক্ষা অনুর্বর ও ঝুকিপূর্ন অঞ্চল ককেশাস ও বলখানের কিছু অংশ তিনি পেয়েছিলেন। এই অনুর্বর ভুমিকেই তার বংশধরেরা মঙ্গল বিশ্বের গর্বের ধন গোল্ডেন হোর্দে (Golden Horde) রুপান্তরিত করেছিলেন। জোচি খানের পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র বাতু খান ক্ষমতা গ্রহন করেন। জসির বড় ছেলে বাতু খানের অন্যতম আস্থার নাম ছিল বারকে খান। মোঙ্গলদের ইউরোপ ঝড়ের অন্যতম মহানায়ক ও ইউরোপিয়ানদের মনে মঙ্গল আতংক স্থায়িভাবে বসিয়ে দেয়ার নাম ছিল বারকে খান, বাতু খানের পরবর্তি শাসক নিযুক্ত হন।


মোঙ্গল থেকে মুসলিম বীরঃ

বারকে খান ১২৫২ সালে বুখারা শহরে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। বারকে খান একবার এই বুখারার ভেতর দিয়ে ইউরোপ থেকে রাজধানী খারখোরিন যাচ্ছিলেন মঙ্গোলীয়দের উচ্চ পর্যায়ের রাজসভায় যোগ দেবার জন্য। তিনি মুসলমানদের একটি মরুযাত্রী দলের সাক্ষাৎ পেলেন। সে দলে ছিলেন একজন সুফী দরবেশ, হযরত সাইফ উদ্দিন রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। তাঁর কাছে মুসলমানদের বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে চান তিনি। বারকে খান তার কথায় মুগ্ধ হন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপরে বারকে খান তার ভাই তুখ-তিমুরকেও ইসলাম গ্রহণে উৎসাহিত করেছিলেন।


হালাকুর বাগদাদ আক্রমনঃ

আব্বাসীয় খিলাফতের শেষ খলিফা ছিলেন আল মুসতাসিম বিল্লাহ। তার উজির আলকামি ছিলো শিয়া মতাদর্শে বিশ্বাসী। খলিফার পুত্র আবু বকর ও আমির রুকনুদ্দিন কারখের মহল্লায় শিয়াদের একটি বসতিতে হামলা করেন। আলকামি এতে প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে আব্বাসীদের হটিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করে। সে খলিফাকে সেনাবাহিনীর জনবল কমানোর পরামর্শ দেয়। এরপর সে হালাকু খানের নিকট পত্র লিখে বাগদাদ আক্রমনের পরামর্শ দেয়। ইলখানাতের শাসক হালাকু খান শিয়াদের পরামর্শে বাগদাদ আক্রমনের সিদ্ধান্ত নেন।

৬৫৫ হিজরির জিলহজ্জ মাস, খলিফা মুসতাসিম বিল্লাহ যখন ভোগবিলাস আর আমোদ-প্রমোদে ব্যস্ত হালাকু খান তখন বাগদাদ আক্রমনের জন্য তার বাহিনী নিয়ে রওনা হয়েছে। হালাকু খান বাগদাদ আক্রমনের পূর্বে মসুলের আমির বদরুদ্দীন লুলুর কাছে দুটি চিঠি এসেছিল। একটি পাঠিয়েছিলেন খলিফা মুসতাসিম বিল্লাহ। তিনি চিঠিতে একজন সুন্দরী গায়িকার সন্ধান চেয়েছিলেন। অপর চিঠিটি ছিল হালাকু খানের পক্ষ থেকে। চিঠিতে হালাকু খান চেয়েছিল ভালো একটি মিনজানিক। এ দৃশ্য দেখে বদরুদ্দীন লুলু বলেছিলেন, "ইসলাম ও তার অনুসারীদের জন্য কাঁদো।"

একদিকে মুসলিম জাহানের খলিফা বিনোদনের উপকরণ নিয়ে ব্যস্ত অন্যদিকে হালাকু কান বাগদাদ আক্রমনের পরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত। আল্লাহ তাদের কোনো সাহায্য করেন না, যারা তার দ্বীনকে সাহায্য করে না।কিছুদিনের মধ্যেই হালাকু খান মোঙ্গল, শিয়া, ক্রুসেডার, আর্মেনিয়ান ও জর্জিয়ান ক্যাভালরি মিলে হামলে পরে বাগদাদের উপর। লিখা হয় বাগদাদের রক্তাত্ত ইতিহাস। ইবনে খালদুনের মতে তারা বাগদাদে ১৬ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে।


বারকে খানের প্রতিক্রিয়াঃ

ইল-খানাত এর শাসক হালাকু খান বাগদাদকে এমনভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিল যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। এদিকে ভাই বাতু খানের মৃত্যুর পর রাজ সিংহাসন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় প্রায় ৫/৬ মাস পর রক্তাক্ত বাগদাদের খবর পান বারকে খান। বারকে খানের কাছে যখন বাগদাদে ঘটে যাওয়া রক্তাত্ব মুসলিম গণহত্যার কথা পৌছল তিনি রাগে ফেটে পরলেন এবং হালাকু খানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের অঙ্গীকার করলেন। মুসলিম ঐতিহাসিক রাশিদ উদ্দিন হামাদানী বারকে খানের একটি উদ্ধৃতি দিয়েছেন এভাবে,

"হালাকু খান মুসলমানদের সব শহর ধ্বংস করেছে এবং খলিফাকে হত্যা করেছে, আল্লাহর সাহায্য নিয়ে আমি তার কাছ থেকে এসব নিরীহ মানুষের রক্তের হিসেবে নেব।"

তিনি তাঁর কথা রেখেছিলেন। বারকে খান একই সাথে স্বজাতি মোঙ্গল, আরব ক্রুসেডার ও ইউরোপিয়ান খ্রিস্টানদের সাথে লড়াই করেছেন, শুধুমাত্র ইসলামের মর্যাদা রক্ষার উদ্দেশ্যে।


মহাবীর বারকে খানের জীবন ও কর্মঃ

বাগদাদ আক্রমনের পর বারকে খান, হালাকু খানকে শায়েস্তা করতে চাইলেন, কিন্তু হালাকু খানের সাথে সরাসরি দ্বন্দ্বে জড়ানো যাচ্ছিল না। আবার তাকে একদম ছেড়ে দিলেও ক্রুসেডার ও ইহুদীদের চক্রান্তে খুব দ্রুতই হালাকু খান ইসলামের পবিত্র ভূমীগুলোর দিকে এগিয়ে যাবে। সুতরাং এমন কিছু করতে হবে যেন হালাকু খানের অগ্রগতি কিছুটা রোধ করা যায় আবার টেম্পলার ও ক্রুসেডারদের একটি শিক্ষা দেওয়া যায়। এই লক্ষ্যে বারকে খান হামলে পরলেন পোল্যান্ডে। বারকে খানের ধোলাই খেয়ে পোপ শেষ পর্যন্ত রুল জারি করতে বাধ্য হলেন, যে কেও মঙ্গলদের সাথে সম্পর্ক রাখবে তাকে খৃষ্টান দুনিয়া থেকে একঘরে করে দেয়া হবে। এ রুলসের কারণে এবার টেম্পলার, ক্রুসেডার, জর্জিয়া ও আর্মেনিয়া হালাকুখানকে পরিত্যাগ করতে বাধ্য হল। অন্যদিকে ইল-খানাত ও গোল্ডেন হোর্দ (Golden Horde) এর সীমান্ত নিয়ে বারকে খান হালাকু খানের কাছে কিছু আপত্তি করায় হালাকু খান বাধ্য হয়ে তার সেনাদের একটি অংশকে সীমান্তে নিযুক্ত করেন। হালাকু খানকে আরব ভূমিগুলোতে আক্রমণ থেকে বিরত রাখতে সীমান্তে গুপ্ত হামলা বাড়িয়ে দেন। বাধ্য হয়ে হালাকু খানকে তার বিশাল বাহিনী নিয়ে সিরিয়া অভিমুখ থেকে ফিরিয়ে ককেশাসে নিয়ে আসতে হয়।

বাগদাদের পর হালাকু খানের পরবর্তি পরিকল্পনা ছিল মিশর আক্রমণ করা। একই সাথে মঙ্কে খানের মৃত্যু হলে কুরুতালাইয়ে যাওয়ার জন্য হালাকু খানের ডাক পরে। ফলে জেনারেল কিতবুকাকে প্রায় ১ লাখ দক্ষ সেনা দিয়ে মূল বাহিনী নিয়ে মঙ্গোলিয়ার দিকে রওনা হয়। কিতবুকা আইন-জালুতের প্রান্তরে মামলুকদের হাতে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। বারকে খানের কুটনৈতিক দুরদর্শিতা কারনে সেদিন ক্রুসেডার ও টেম্পলার'রা মোঙ্গলদের সাহায্য করতে পারে নি। বারকে খান জানতেন হালাকু খান এ হামলার প্রতিশোধ নিবেই এবং সে ঝড় থামানো মামলুকদের পক্ষ্যে সম্ভব না। এখন শুধুমাত্র তার কিছু সিদ্ধান্তই পারে মুসলিম অঞ্চলগুলোকে বাঁচাতে। তবে এ জন্যে তাকে অবশ্যই মোঙ্গলদের মৃত্যু পরোয়ানা লিখতে হবে। বারকি খানের সামনে মোঙ্গলদের সাথে নিয়ে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ্য সাম্রাজ্য গড়ে তোলার সুযোগ ছিল। মঙ্গলরা যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল যদি বারকি আর হালাকু এক হয়ে যেত সে ঝড় থামানোর কোন সুযোগতো মুসলিমদের ছিলইনা পশ্চিমের খ্রিষ্ট্রানদের সম্মিলিত শক্তিও এ দুই শক্তির সামনে স্রেফ ধুলোর মত উড়ে যেত। দুনিয়ার এত সফলতার আহবান থাকা স্বত্বেও শুধুমাত্র ইসলামের প্রতি ভালবাসা ও মুসলিমদের রক্ষা করার নেশায় বারকি খান মঙ্গলদের মরণ পত্রে সাক্ষ্যর করলেন।

মঙ্কে খানের পর কে গ্রেট খান হবে এ নিয়ে সভা বসলো। সভার শুরুতেই হালাকু খানের বাগদাদ আক্রমনের বিষয়ে তিনি বিরোধিতা করেন। কুবলাই খান তার বিরোধিতা করে। হালাকু খান চাইছিলো কুবলাই খান গ্রেট খান হিসাবে নির্বাচিত হোক। বারকে খান নিজেই গ্রেট খান হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারতেন তবে এর ফলে আইনের নানান চক্করে তিনি বাধা পরে যেতেন ফলে মুসলিম ও ইসলাম রক্ষার নিমিত্তে তার অভিযানের পথ সংকোচিত হয়ে যেত। তাই নিজে প্রার্থী না হয়ে আরিক বোকাকে গ্রেট খান হিসেবে ঘোষণা করলেন। একদিকে হালাকু খান ও কুবলাই খান অন্যদিকে আরিক বোকা ও বারকে খান থাকায় কুরুলতাইয়ের সদস্যরা নতুন খান নির্বাচন করতে ব্যার্থ হয়। ফলে এবার গ্রেট খানের চেয়ার নিয়ে আরিক বোকা ও কুবলাই খান দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যায়।

কুবতাই খান এদিকে আরিকবুকা'র সাথে দ্বন্দের কারণে হালাকু খানকে সাহায্য করতে পারছিলো না। অপরদিকে বারকে খান সীমান্তে গুপ্ত হামলা আরো বাড়িয়ে দিলেন ফলে হালাকু খান সীমান্ত রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কয়েক বছর পর আরিক বুকা পরাজিত হলে হালাকু খান আবার আইন-জালুতের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ পেয়ে যায়। হালাকু খান তার এলিট বাহিনী নিয়ে মিশর আক্রমণের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এবার কুটনৈতিক অন্য কোন উপায় না থাকায় আজারবাইজানকে কেন্দ্র করে গজিয়ে উঠা দ্বন্দ্ব নিরসনে বারকে খান সরাসরি হালাকু খানের মুখোমুখি হন একটাই উদ্দেশ্যে তা হচ্ছে হালাকু খান যেন কোন ভাবেই মুসলিমদের পবিত্রভূমীগুলোর দিকে এগিয়ে যেতে না পারে। অবশেষে তেরেক নদীর তীরে দুই বৃহৎ শক্তিশালী মোঙ্গল বাহিনী মুখোমুখি হলে হালাকু খান পরাজিত হন ও তার লক্ষাধিক সেনা নিহত হয়। ফলে হালাকু খানের কাছে আইনে জালুত থেকেও গোল্ডেন হর্দ ও ইলখায়ানাতের দ্বন্দ্বই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। এভাবেই বারকে খান ইসলাম ও মুসলমানদের বাঁচানোর জন্য নিজেকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন মৃত্যু পর্যন্ত।


মৃত্যুঃ

ইসলামের জন্য নিবেদিত বীর সেনানী বারকে খান কখনো সরাসরি মোঙ্গলদের সাথে লড়েছেন কখনো কুটনৈতিক ভাবে মোঙ্গলদের নিজেদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে তাদেরকে দুর্বল করেছেন। বারকে খান মুসলিম বিশ্ব ও মোঙ্গলদের মাঝে দেয়াল হয়ে মুসলিম জাহানকে রক্ষা করে গেছেন মৃত্যর আগ পর্যন্ত। আর তিনি এ সবই করেছিলেন কেবলমাত্র ইসলামকে ভালবাসেন বলে। মুসলিম জাহানের এ নিবেদিত বীর ১২৬৬-১২৬৭ সালে একটি যুদ্ধ অভিযানে অসুস্থ হয়ে ইন্তেকাল করেন। আল্লাহ তাআলা বারকে খানকে কবুল করুক।

ইতিহাসবিদদের মতে মোঙ্গলদের বিরুদ্ধে বারকে খান যদি বাধা হয়ে না দাড়াত তাহলে হয়ত শক্তিশালী মোঙ্গল বাহিনীর হাতে শুধু মুসলিম বিশ্ব নয় গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেত।


তথ্যসুত্রঃ
১. আল মুখতাসার ফি আখবারিল নিবাশান - ৩/১৯৩
২. তারিখুল খুলাফা
৩. আত তাতার বাইনাল ইনতিশার ওয়াল ইনকিসার
৪. আব্বাসী খিলাফাহ -ইমরান রাইহান -২৭৪/২৭৫
৫. অক্ষর ব্লগ/অলক্ষ্যে থাকা মহাবীর বারকি খান।
৬. উইকিপিডিয়া বাংলা/বারকা খান।

Previous Post Next Post