স্পেনে মুসলিম শাসন : স্পেনে মুসলমানদের আগমনের পটভূমি(১ম পর্ব)

স্পেনে মুসলমানদের ইতিহাস

স্পেনে মুসলমানদের আগমনের পটভূমি

কুরাইশদের অত্যাচার ও নির্যাতনের মুখে রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার নির্দেশে সাহাবায়ে কেরামসহ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের এ হিজরত ইসলামের জন্য রহমতস্বরূপ ছিল। কেননা রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরত করার পর সেখানের অনুকূল পরিবেশে থেকে ইসলামি রাষ্ট্রের বীজ বপন করেছিলেন সে বীজই এক সময় মহীরুহে পরিণত হয়ে বিশ্বের দিগৃদিগন্তে ছায়া বিস্তার করে। আর সে ছায়াতলে এসে আশ্রয় নেয় তৎকালিন বিশ্বের উৎপীড়িত ও মজলুম মানবতা। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে তারা খুঁজে পায় শান্তির চিরন্তন ঠিকানা।


বস্তুত রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় ইসলামি রাষ্ট্রের পরিধি ছিল খুবই সীমিত। কিন্তু তিনি যে মুজাহিদ বাহিনী তৈরি করে রেখে যান তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষার বদৌলতে ইসলামি রাষ্ট্রের সে ভিত্তি গগনচুম্বি অট্টালিকার রূপ নেয়। খােলাফায়ে রাশেদার দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর রাদিয়ালাহু আনহু খেলাফতকালে (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) ইসলামি রাষ্ট্রের সীমানা ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হতে থাকে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকে। যদিও হজরত উসমান ও আলী রাদিয়ালাহু আনহুর খেলাফতকালে এর গতি কিছুটা মন্থর ছিল। কিন্তু উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদের রাজত্বকালে ইসলামি সাম্রাজ্য প্রবল ও দুর্বার গতিতে বিস্তার লাভ করে। খলিফা ওয়ালিদ বড় মাপের যােদ্ধা না হলেও তিনি কতিপয় বিশ্ববরেণ্য ও রণনিপুণ সেনাপতি লাভ করেছিলেন। তাদের শৌর্যবীর্য, রণনিপুণতা ও অক্লান্ত পরিশ্রেমের ফলে এশিয়া, ইউরােপ। আফ্রিকা মহাদেশের অনেক এলাকা ইসলামি সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। এ সময় স্পেনও মুসলমানদের পদানত হয়। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষের দিকে উত্তর আফ্রিকা উমাইয়া খেলাফতে অধীনে আসে। ৬৯৮ খ্রিষ্টাব্দে রাজধানী কার্থেজ থেকে বাইযাইনটাইনগ বিতাড়িত হয়। তিউনিসে ইসলামের আগমন ঘটে এবং সেখানে মুসলিমদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। ৭০০ খ্রিষ্টাব্দের অল্প পরেই মুসলমানরা আলজেরিয়া হয়ে মরক্কোতে প্রবেশ করতে শুরু করেন। মরক্কোসহ উত্তর আফ্রিকাতে মুসলিম কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পরেই মুসলমানরা মুসা বিন নুসায়ের এবং অধীনস্থ সেনাপতি তারিক বিন যিয়াদের নেতৃত্বে স্পেনে অভিযান পরিচালনা করেন। প্রথম হিজরি শতাব্দীর শেষের দিকে তথা খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে মুসলমানদের স্পেন বিজয় আইবেরীয় উপদ্বীপের ইতিহাসের পাতায় এক অবিস্মরণীয় ঘটনা।


স্পেন বিজয়ের সেই বীরত্বগাথা, স্পেনে মুসলিমদের উত্থান পতনের ইতিহাস নিয়ে জানতে চোখ রাখুন আমাদের এই সিরিজে। উক্ত সিরিজে আমরা কাজী মুহাম্মদ হানিফের লেখা স্পেনের মুসলমানদের ইতিহাস ও অবদান বইটিকে অনুসরণ করবো। তাহলে চলুন ইতিহাসের পাতায় আমাদের অভিযান শুরু করা যাক....

স্পেনে মুসলমানদের ইতিহাস
স্পেনের আকাশে সুর্যাস্ত
স্পেনে মুসলমানদের অভিযানের কারণঃ

বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী বা ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রসমূহের মতাে রাজনৈতিক প্রভাববলয় বিস্তৃত করা ও ভিন-রাষ্ট্রের সম্পদ কুক্ষিগত করার মিশন নিয়ে মুসলমানরা তাদের সামরিক অভিযান পরিচালনা করতেন না। মুসলমানদের কাছে সম্পদের চেয়ে আদর্শ অনেক বড় ছিল। তাদের সামরিক অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল মজলুম মানবতাকে জুলুমের নিগড় থেকে উদ্ধার করে শান্তির ছায়াতলে আশ্রয় দেওয়া। কুফরি ও শিরিকের তামসী ছায়ায় আচ্ছন্ন মানব জাতিকে তাওহিদের আলােকময় জীবনের সন্ধান দেওয়া। মানুষের গােলামি থেকে মুক্তি দিয়ে আল্লাহর গােলামির মর্যাদাপূর্ণ আসনে আসীন করা। তাই যেখানেই মুসলমানদের বিজয়ের হেলালি নিশান উড্ডীন হতাে সেখানেই শান্তি ও স্বস্থির সুবাতাস বইতে শুরু করত। ফলে বিজিত সম্প্রদায় বিজেতা মুসলমানদের দিকে ঘৃণার পরিবর্তে ভালােবাসার দৃষ্টিতে তাকাত। যেসব অঞ্চল তখনাে মুসলমানদের কর্তৃত্ব বলয়ের বাইরে ছিল সেসব অঞ্চল নিপীড়িত ও মজলুম জনতা তাদের অঞ্চলে মুসলমানদের আগমন কামনা করতেন। স্পেনের অবস্থাও সেকালে অনেকটা এমন ছিল।


উত্তর আফ্রিকা জয় করে মুসলমানরা যখন সেখানে শান্তির রাজ কাজ করেছিলেন তখন স্পেন শাসন করত 'ভিজিগথিক' শাসকগােষ্ঠী। তাদের পূর্বে স্পেন শাসন করত রােমানরা। তারাও ছিল অত্যন্ত জালেম। রােমানদের পর ভিজিগথিকরা স্পেন প্রায় তিন শত বছর শাসন করে। তাদের আমলে জনগণের অবস্থা আরও শােচনীয় হয়ে যায়। কেননা শাসক আর শাসিতের মাঝে আসমান জমিনের ব্যবধান ছিল। রাজা, ধর্মযাজক, অমাত্যবর্গ ও অভিজাতবর্গ শাসক শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিল। পক্ষান্তরে বর্গাচাষী, ভূমিদাস ক্রীতদাস ও ইহুদিরা ছিল শাসিত শ্রেণিতে। সমাজের এরূপ বৈষম্যমূলক শ্রেণিবিন্যাস ও বিভাজন সমাজদেহকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছিল। 


হিজরীর প্রথম শতাব্দীর শেষের দিকের কথা। তখন মুসলমানগন আফ্রিকার উত্তরাংশ জয় করে আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছেন। সারাবিশ্বে তখন মুসলমানদের দোর্দণ্ড প্রতাপ। মুসলিম মুজাহিদদের পদভারে কেঁপে উঠছে দূরদূরান্ত। জালিম স্বৈরশাসকদের জিনদান থেকে মজলুম মানবতাকে উদ্ধারের জন্য দিক দিগন্তে ছুটে চলছে মুসলিম বীর সেনারা। ক্রমেই মুসলমানদের পদানত হচ্ছে শহর-বন্দর গিরি-কন্দর, আসমুদ্র-হিমাচল। 


ঠিক এমনই সময় স্পেনের রাজা ছিল রডারিক। সে ছিল গোঁড়া খ্রিষ্টান। তার অত্যাচার ও নিষ্পেষণে হাঁপিয়ে উঠেছিল মজলুম মানবতা। তখনকার স্পেনে মানুষকে মানুষ মনে করা হতো না। নিত্যকার দ্রব্যের মতো মানুষ বেচা-কেনা হতো দাস হিসেবে। রাজা রডারিকের শাসনব্যবস্থা ছিলো সীমাহীন বর্বরোচিত এক অধ্যায়। তবে রডারিক ছিলো নামেমাত্র রাজা। স্পেন তথা গোটা ইউরোপে তখন ক্ষমতার কলকব্জা পরিচালনা করছিল পোপ ও পুরোহিতরা। ধর্মের নামে চলছিল পোপ পুরোহিতদের সীমাহীন শোষণ-অত্যাচার। ধর্মকে ব্যবহার করে দুনিয়া ভোগের এক উন্মত্ত খেলায় মেতেছিল তারা। পুরোহিতদের এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে কারো টু শব্দ টুকু করারও অধিকার ছিল না। জমির মালিকানা কুক্ষিগত করে রেখেছিল সামন্ত প্রভুরা। আর সাধারন মানুষ ছিল ভূমিদাস বা ক্রীতদাস।  পেশিশক্তির বলে তাদের উপরে চালানো হতো নির্যাতনের স্টিমরোলার।


রডারিক স্পেনকে তার করদরাজ্যে পরিণত করে। চরিত্রগত দিক দিয়ে রডারিক যেমন ছিল বর্বর তেমনি আচার-আচরণে ছিল স্বেচ্ছাচারী। তার যেসব কুকীর্তির কথা জানা যায় তন্মধ্যে একটি হলাে, সে তার রাজ্যের সুশ্রী বালক-বালিকা কিশাের-কিশােরীদেরকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপােষকতার অজুহাতে নিজের তত্ত্বাবধানে রেখে তাদের সাথে যৌনক্ষুধা চরিতার্থ করত। কাউন্ট জুলিয়ারের এক অনুদ্ভিন্নযৌবনা কিশােরী কন্যাও রডারিকের তত্ত্বাবধানে থাকত। কিন্তু পাষণ্ড, ওই কিশোরীকেও একসময় যৌনক্রীড়ার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।  ফলে কিশোরী তার নিগৃহীত হওয়ার কথাসহ রডারিকের সব গােপন কথা কাউন্ট জুলিয়ানকে অবহিত করে। রডারিকের এ পৈশাচিক আচরণের কথা শুনে কাউন্ট জুলিয়ানের মনে রডারিক ও তার রাজত্বের বিরুদ্ধে ঘৃণা ক্ষোভ প্রচণ্ডভাবে দানা বেঁধে ওঠে। উল্লেখ্য কাউন্ট জুলিয়ান ছিলো স্পেনের শাসনাধীন মরোক্কোর উত্তরে অবস্থিত উপকুলবর্তী শহর সিউটার রাজা। 


এটা ছিল সে সময়ের ঘটনা যখন মুসা বিন নুসায়েরের নেতৃত্বে আফ্রিকার উত্তরাংশের বেশির ভাগ অঞ্চল মুসলমানদের কর্তৃত্বাধীনে চলে এসেছিল। বিজিত অঞ্চলে মুসলমানদের ন্যায়-নীতি দেখে রডারিকের প্রতি বিক্ষুব্ধ রাজা কাউন্ট জুলিয়ান একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে মুসা বিন নুসায়েরের মজলিসে উপস্থিত হন এবং মুসা বিন নুসায়েরকে স্পেন আক্রমণ করে নিল্পেষিত-নিগৃহীত মানবতাকে রাজা রডারিকের কালাে থাবা থেকে উদ্ধার করার জন্য আবেদন করেন। একই সাথে তিনি সসৈন্যে মুসলমানদেরকে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। 


কাউন্ট জুলিয়ানের আহ্বানের প্রেক্ষিত পর্যালোচনা করে মুসা বিন নুসাইর তার অধীনস্থ সেনাধ্যক্ষ তারিক বিন যিয়াদকে স্পেন অভিযানের জন্য প্রেরণ করেন। তারিক বিন যিয়াদ জিব্রাল্টার প্রণালী অতিক্রম করে স্পেনের পার্বত্য উপকূলে নোঙর করেন। উল্লেখ্য জিব্রাল্টার প্রণালীর নামকরণ তারিক বিন যিয়াদ এর নাম অনুসারেই হয়েছিল। কিন্তু ইউরোপীয় খ্রিস্টানরা তা বিকৃত করে জিব্রালটার রাখে। স্পেনে মুসলিম শাসনের পতন পর্যন্ত এর নাম ছিল "জাবালে তারিক"। খ্রিস্টানরা এটাকে এখন জিব্রাল্টার নামে ডাকে। তারেক বিন যিয়াদ আরো কিছুদূর অগ্রসর হবার পর সিডোনা শহরের অদূরে অবস্থিত গোয়দেলেত নদীর তীরবর্তী স্থানে ৯২ হিজরীর ১৮ ই রমজান মোতাবেক ৭১১ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে মুসলমানগন খ্রিস্টান বাহিনীর মুখোমুখি হয়। শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। মর্মস্পর্শী তাকবীর ধ্বনিতে কেঁপে উঠে রণপ্রান্তর। রাজা রডারিক সেনাপতি থিউওডমিরের নেতৃত্বে যে সেনা বাহিনী পাঠিয়েছিল তারিক বিন যিয়াদের বাহিনীর কাছে তা বারবার শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে শক্তি, সাহস আর মনোবল সম্পুর্ণরূপে হারিয়ে ফেলে। তখন সেনাপতি থিওডামির (Thiodomir) এই মর্মে রডারিকের কাছে পত্র লেখে যে, 


"যে জাতির সাথে আমরা যুদ্ধ করছি ঈশ্বরই জানেন তারা কি আকাশ থেকে নেমে এসেছে নাকি জমি ফুঁড়ে এসেছে। এহেন অবস্থায় আপনি যুদ্ধবাজ ও দক্ষ সেনাবাহিনী নিয়ে নিজে না আসলে তাদের থামানো সম্ভব নয়।"


রাজা রডারিক সেনাপতির এ বার্তা শুনে সত্তর হাজার সাহসী ও যুদ্ধবাজ সৈন্যর সমন্বয়ে এক বিরাট সেনাবাহিনী গঠন করে তড়িৎগতিতে তারিক বিন  যিয়াদের মােকাবিলার জন্য রওনা হয়ে যান।


অপর দিকে মুসা বিন নুসায়েরও তারিক বিন যিয়াদের সাহায্যার্থে পাঁচ হাজার সৈন্য প্রেরণ করেন। ফলে মুসলিম বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বার হাজারে উন্নীত হয়। লাক্কা উপত্যকায় যখন উভয় বাহিনী মুখােমুখি অবস্থান গ্রহণ করে তখন তারিক বিন যিয়াদ নিজেদের সৈন্যদেরকে লক্ষ্য করে যে জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছিলেন তা আজও আরবি সাহিত্য ও ইতিহাসের পাতায় ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ হয়ে আসছে। যার প্রতিটি শব্দ তারিকের দৃঢ় সংকল্প, ঈমানি চেতনা, অদম্য মনােবল ও সর্বোপরি আত্মােৎসর্গের স্পৃহার প্রমাণ বহন করে। তারিকের সে তেজস্বী ঐতিহাসিক ভাষণের মর্মস্পর্শী শব্দের ঝংকারগুলো যেন মুজাহিদদের স্পৃহার অনলে লবণ ছিটিয়ে দিয়েছিল।


দীর্ঘ লড়াইয়ের পর খ্রিস্টান বাহিনী সম্পূর্ণরূপে পরাজিত ও পর্যুদস্ত হয়ে পিছু টান দেয়। এরপর একের পর এক স্পেনের শহর-বন্দর পদানত করে তারিক বাহিনী সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। অপর দিকে সেনাপতি মুসা বিন নুসাইর ১৮ হাজার সৈন্য নিয়ে স্পেনের অন্য এলাকায় আক্রমণ চালিয়ে  কর্মোনা, সেভিল, ও মেরিদা জয় করেন। এভাবে দুই দিক থেকে দুই বীর বাহাদুর স্পেন দখল করে পিরীনিজ পর্বতমালার পাদদেশে গিয়ে পৌঁছান।


এরপর থেকে ১৪৯২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘ আট শত বছর পর্যন্ত মুসলমানগন স্পেন শাসন করেন। এই দীর্ঘ আট শত বছরে মুসলমানগন স্পেনকে গড়ে তুলে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে। শিক্ষা-সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধন-সম্পদ, কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যে স্পেন পরিণত হয় কিংবদন্তির দেশে। অন্ধকার, বর্বর, অধঃপতিত স্পেন মুসলিম জাতির ছোঁয়ায় রূপে-গুণে, প্রজ্ঞা ও উৎকর্ষে যেন নবজীবন লাভ করে। 


সম্পর্কিত পাতাঃ
Previous Post Next Post