সুবেহ সাদেক থেকে সূর্যান্ত পর্যন্ত নিয়ত সহকারে ইচ্ছাকৃতভাবে পান, আহার ও যৌন তৃপ্তি থেকে বিরত থাকাকে রােযা বলা হয়। প্রত্যেক আকেল (বােধ সম্পন্ন), বালেগ (বয়সপ্রাপ্ত) ও সুস্থ্য নর-নারীর উপর রমযানের রােযা রাখা ফরয। ছেলে মেয়ে দশ বৎসরের হয়ে গেলে তাদের দ্বারা (শাস্তি দিয়ে হলেও) রােযা রাখানাে কর্তব্য। এর পূর্বেও শক্তি হলে রােযা রাখার অভ্যাস করানাে উচিত। রোজা পালন উপলেক্ষ আল্লাহ তাআলা বলেন,
"হে মুমিন সকল! তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপরও ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। (সূরা বাকারা-১৮৩)"
রোজার মাসায়েলের ধারাবাহিক পর্বের আজকে থাকছে ৫ম পর্ব-
![]() |
মান্নতের রোজার মাসায়েল |
* যদি কেউ আল্লাহর নামে রােযা রাখার মান্নত করে তাহলে সেই রােযা রাখা ওয়াজিব হয়ে যায়। তবে কোন শ্তের ভিত্তিতে মান্নত মানলে সেই শর্ত পূরণ হওয়ার পূর্বে ওয়াজিব হয় না- শর্ত পূরণ হলেই ওয়াজিব হয়।
কোনো নির্দিষ্ট দিনে রােযা রাখার মান্নত করলে এবং সেই দিন রােযা রাখলে রাতক্রেই নিয়ত করা জরুরী নয়, দুপুরের এক ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত নিয়ত করা দুরস্ত আছে।
* কোন নির্দিষ্ট দিনের রােযা রাখার মান্নত করলে এবং সেই দিন সে রােযা রাখলে মান্নতের রােযা বলে নিয়ত করুক বা শুধু রােযা বলে নিয়ত করুক বা নফল বলে নিয়ত করুক মান্নতের রােযাই আদায় হবে। তবে কাযা রােযার নিয়ত করলে কাযাই আদায় হবে-মান্নতের রােযা আদায় হবে না।
* কোন দিন তারিখ নির্দিষ্ট করে মান্নত না করলে যে কোন দিন সে মান্নতের রােযা রাখা যায়। এরূপ মান্নতের রােযার নিয়ত সুবৃহে সাদেকের পূর্বেই হওয়া শর্ত।
* কোন নির্দিষ্ট দিনে বা নির্দিষ্ট তারিখে বা নির্দিষ্ট মাসে রােযা রাখার মান্নত করলে সেই নির্দিষ্ট দিনে বা তারিখে বা মাসে রােযা রাখাই জরূরী নয়- অন্য যে কোন সময় রাখলেও চলবে।
* যদি এক মাস রােযা রাখার মান্নত করে তাহলে পুরাে এক মাস লাগাতার রােযা রাখতে হবে।