কি কি বস্তু দ্বারা তাইয়াম্মুম করা জায়েয : তায়াম্মুমের মাসায়েল (৩য় পর্ব)

তায়াম্মুমের আভিধানিক অর্থ হলো কোনো কিছুর দিকে ধাবিত হওয়া বা কোন কিছু করার ইচ্ছে পোষন করা। তায়াম্মুমের শরয়ী পারিভাষিক অর্থ হলো পবিত্রতা অর্জন করার উদ্দেশ্যে পবিত্র মাটি দিয়ে মুখ ও দুই হাত মাসেহ করা। তায়াম্মুমের হুকুম তখনই আরোপিত হবে যখন পানি পাওয়া যাবে না যা দ্বারা অযু সম্পন্ন করা যায়। যদি এমন হয় যে উক্ত ব্যাক্তির জন্য পানি ব্যবহার অসম্ভব (বিশেষ রোগ বা এ জাতীয় কিছুর জন্য) তবে তার জন্যও তায়াম্মুমের হুকুম বৈধ থাকবে।

পানির অনুপস্থিতিতে বা পানি ব্যবহার করা অসম্ভব হলে যেসব বিষয়ে পবিত্রতা অর্জন করা ফরজ সেসব ক্ষেত্রে তাইয়াম্মুম করা ফরজ যেমনঃ নামাজ ইত্যাদি। আবার যেসকল ইবাদতের ক্ষেত্রে পবিত্রতা মুস্তাহাব সেসব বিষয়ে তায়াম্মুম করাও মুস্তাহাব। যেমনঃ মুখস্ত কোরআন তিলাওয়াত করা ইত্যাদি। আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدٗا طَيِّبٗا فَٱمۡسَحُواْ بِوُجُوهِكُمۡ وَأَيۡدِيكُم مِّنۡهُۚ

অর্থঃ অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ করো (সূরা আল মায়েদা:৬)

নিচে ধারাবাহিকভাবে তাইয়াম্মুমের করণীয় বিষয়সমূহ বর্ণনা করা হলঃ 

কি কি বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করা জায়েজ
তায়াম্মুম

কি কি বস্তু দ্বারা তাইয়াম্মুম করা জায়েয

১. পাক মাটি, কংকর, বালি, চুনা, মাটির তৈরী কাঁচা অথবা পাকা ইট, ধুলা-বালি, মাটি, পাথর ইটের তৈরী দেয়াল, পাকা বাসন, (তেল লেগে না থাকলে)। 

২. লাকড়ী বা কাপড়ে অথবা অন্য কোন পাক বস্তুতে ধুলাবালি লেগে থাকলে এসব বস্তু দ্বারা তাইয়াম্মুম করা যাবে।

Previous Post Next Post