মাযুর ব্যক্তির ওযুর পদ্ধতি : বারবার ওযু ভেঙে গেলে করনীয়

যার নাক বা অন্য কোন যখম থেকে অনবরত রক্ত বইতে থাকে বা অনর্গল পেশাবের ফোঁটা আসতে থাকে, এমনকি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্তের মধ্যে এতটুকু সময়ও বিরতি হয় না, যার মধ্যে সে শুধু উূর ফরয অঙ্গগুলো ধুয়ে সংক্ষেপে ফরয নামায আদায় করতে পারে, এরূপ ব্যক্তিকে মাযুর বলে। অর্থাৎ কোন বিশেষ অসুস্থতার কারণে যদি সে ওযু ধরে রাখতে সক্ষম না হয় যেমনঃ কোনো ব্যক্তির পায়ুপথের বাতাস ধরে রাখতে সমস্যা বা প্রতিনিয়ত তার বাতাস বের হয় এরূপ ব্যক্তি মাযুর বলে গণ্য হবে। 

মা'যুর ব্যক্তি ওযু কিভাবে করবেঃ

* মা'যূর ব্যক্তিকে (অসুস্থ ব্যক্তি) প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্তে নতুন উযু করতে হবে। যে পর্যন্ত ঐ ওয়াক্ত থাকবে সে পর্যন্ত তার উযু থাকবে অর্থাৎ, ঐ ওজরের কারণে উয়ু যাবে না। তবে ঐ কারণ ছাড়া উু ভঙ্গের অন্য কোন কারণ ঘটলে উযু ভঙ্গ হয়ে যাবে।

মাযুর ব্যক্তির ওযুর পদ্ধতি মাসায়েল
মাযুর ব্যক্তির ওযুর মাসায়েল
* মা'যুর ব্যক্তি যে কারণে মাযূর হয়েছে সে কারণ বন্ধ থাকার সময় উয়ু ভঙ্গের অন্য কোন কারণ ঘটায় যদি উযূ করে, তারপর মা'যূর যে কারণে হয়েছে সে কারণ ঘটে, তাহলেও উযু চলে যাবে অবশ্য মা'যুর যে কারণে হয়েছে সে কারণে যে উযু করবে সেই উযু ওয়াক্তের শেষ পর্যন্ত থাকবে যদি উযু ভঙ্গের অন্য কোন কারণ না পাওয়া যায়।

* যদি এই রক্ত ইত্যাদি (অর্থাৎ, যে কারণে মা'যূর হয়েছে) কাপড়ে লাগে এবং এরূপ মনে হয় যে, নামায শেষ হওয়ার পূর্বে আবার লেগে যাবে, তাহলে ঐ রক্ত ধােয়া ওয়াজিব নয়। অন্যথায় ধুয়ে নিয়ে পাক কাপড়েই নামায পড়তে হবে। তবে রক্ত এক দেরহাম পরিমাণের কম হলে তা না ধুয়েও নামায হয়ে যাবে। হাতের তালু সম্পূর্ণ খুলে তাতে পানি রাখলে যে পরিমাণ স্থানে পানি থাকে তাকে এক দেরহাম-এর পরিমাণ বলা হয়। (বেহশতি জেওর)

* মাযুর বলে গণ্য হওয়ার জন্য শর্ত হল পূর্ণ এক ওয়াক্ত (শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত) এমন অতিবাহিত হওয়া, যার মধ্যে সে ওজর থেকে এতটুকু বিরতি পায় না যাতে উযুর ফরযগুলা আদায় করে ফরয নামায পড়ে নিতে পারে। এরপর প্রতি ওয়াক্তে সারাক্ষণ সেই ওজর থাকা জরুরী নয় বরং ওয়াক্তের মধ্যে এক বারও যদি পাওয়া যায় তবুও সে মাযূর বলে গণ্য থাকবে। অবশ্য যদি এমন একটা ওয়াক্ত অতিবাহিত হয়, যার মধ্যে একবারও সে ওজর দেখা যায়নি, তাহলে সে আর মা'যুর থাকল না।

Previous Post Next Post