ইহুদী ধর্মের উত্তরাধিকার আইনে কেবলমাত্র মৃত ব্যক্তির পিতা, পুত্র, ভাই ও চাচা ওয়ারিছ হতে পারে। মৃত ব্যক্তির মা, কন্যা, বােন, স্ত্রী যাই হােক না কেন এ ধর্মে নারী ওয়ারিছ হতে পারে না। নিম্নে এ সম্পর্কে আলােকপাত করা হল-
![]() |
উত্তরাধিকার নীতি (প্রতীকী চিত্র) |
কন্যা : যদি মৃত ব্যক্তির ওয়ারিছদের মধ্যে কন্যা থাকে তাহলে সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত সে শুধু ভরণ-পােষণের হকদার হবে। বিবাহের সময় পিতার সহায়-সম্পত্তি হতে সে শুধুমাত্র বিবাহের খরচটুকু পাবে। অথচ ইসলাম পুত্রের উপস্থিতিতেই কন্যাকে 'কন্যার দ্বিগুণ পুত্র পাবে' এর অধীনে মীরাছ প্রদান করেছে। যদি কন্যা একাই হয় তাহলে সে অর্ধেক সম্পত্তির ওয়ারিছ হবে। এভাবে ইসলাম নারীর উত্তরাধিকার প্রদান করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মা : যদি কোন মহিলার পুত্র বা কন্যা মৃত্যুবরণ করে তাহলে তাদের মা নিজ সন্তানদের সম্পত্তির ওয়ারিছ হতে পারবে না। বরং মৃতের পুত্র সম্পত্তির ওয়ারিছ হবে। সন্তান-সন্ততি না থাকলে মূতের পিতা ওয়ারিছ হবে। পিতা না থাকলে মূতের প্রকৃত ভাই ঐ সম্পত্তির ওয়ারিছ হবে। কস্মিনকালেও মূতের মা ওয়ারিছ হতে পারবে না।
পক্ষান্তরে ইসলাম ধর্মে মা নিজ সন্তানের সম্পত্তিতে কখনাে ৩ ভাগের ১ অংশ আবার কখনাে ৬ ভাগের ১ অংশ মীরাছ পান। কখনাে মীরাছ থেকে বঞ্চিত হবে না।
স্ত্রী: যদি স্বামী স্ত্রীর আগে মারা যায় তাহলে স্ত্রী মৃত স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির ওয়ারিছ হতে পারবে না। কিন্তু স্বামীর আগে স্ত্রী মারা গেলে স্বামী স্ত্রীর সকল সহায়-সম্পত্তির একচ্ছত্র ওয়ারিছ হবে। স্ত্রীর কোন সন্তানও তার ওয়ারিছ হতে পারবে না। কিন্তু ইসলামী শরীআতে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের ওয়ারিছ হতে পারে।
জারজ সন্তান : ইহুদী উত্তরাধিকার আইন মতে জারজ সন্তান স্বীয় পিতা-মাতার বৈধ ওয়ারিছ হতে পারে। এক্ষেত্রে তার মর্যাদা তাদের প্রকৃত পুত্রের মতােই। যদি জারজ সন্তান তাদের প্রথম সন্তান হয়, তাহলে সে অন্য বৈধ পুত্রদের চেয়ে দ্বিগুণ পাবে। কিন্তু ইসলামী শরীআতে জারজ সন্তান শুধুমাত্র মায়ের সম্পত্তিরই ওয়ারিছ হতে পারে।
ইহুদী উত্তরাধিকার আইন মতে যদি কোন মৃত ব্যক্তির কোন ওয়ারিছ অর্থাৎ পিতা, দাদা, পুত্র, ভাই, চাচা প্রমুখ কেউ না থাকে তাহলে তার সম্পত্তির ওয়ারিছ হবে ঐ ব্যক্তি, যে প্রথমে সেই সম্পদ দখল করতে পারবে। তিন বছর পর্যন্ত সেটা তার নিকট আমানত হিসাবে থাকবে। যদি ৩ বছরের মধ্যে কোন ওয়ারিছ বের না হয় তাহলে দখলদার সমুদয় সম্পত্তির মালিক হবে।
অন্যের সম্পদ লুট করার কী চমৎকার ইহুদী নীতি!