খ্রিস্টান ধর্মে নারীর অধিকার : উত্তরাধিকার আইন

খ্রিস্টান ধর্মে নারীর অধিকার | উত্তরাধিকার আইন
উত্তরাধিকার আইন

প্রচলিত ইঞ্জীলে উত্তরাধিকার সম্পর্কিত কোন বিধি-বিধান নেই। খ্রিস্টান ধর্মের পােপ-পাদ্রীরা ইহুদী ও রােমান উত্তরাধিকার আইন অনুসরণ করেন। অন্যান্য ধর্ম থেকেও তারা এ সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি গ্রহণ করেছেন। যেমন বর্তমানে জর্ডানের খ্রিস্টানরা ইসলাম ধর্মের উত্তরাধিকার আইন মেনে চলে।

জর্ডানের থ্রিস্টান পণ্ডিত ড. সুলাইমান মার্কস তাঁর গ্রন্থে ঈসা (আঃ) সম্পর্কে একটি ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছেন, এক ব্যক্তি ঈসা (আঃ)-এর নিকট আবেদন করল, আপনি আমার ভাইকে বলে দিন সে যেন আমাদের পিতার সম্পত্তির অর্ধেক আমাকে দিয়ে দেয়। উত্তরে ঈসা (আঃ) বলেছিলেন, আমাকে কেউ সম্পদ বণ্টনকারী বিচারক হিসাবে প্রেরণ করেনি।

মাত্তার ইঞ্জীলে উল্লেখিত হয়েছে যে, 'আপনাদের কোন ভ্রম যেন না হয় যে, আমি কেন প্রেরিত হয়েছি। আমি মূসা (আঃ)-এর নিয়ম-নীতিকে রহিত করার জন্য আসিনি। বরং আমি সেগুলােকে পূর্ণ করার জন্য এসেছি। যাতে ঐসব বিধানকে সত্য প্রমাণ করতে পারি। আর এই গ্রন্থের (তাওরাত) বিধি-বিধান ততক্ষণ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, যতক্ষণ তার উদ্দেশ্য পূরণ না হয়'।

উপরােক্ত বিবরণ থেকেও প্রমাণিত হচ্ছে যে, খ্রিস্টান ধর্মে কোন নারী ওয়ারিছ হতে পারে না। পুত্রই সকল সম্পত্তির ওয়ারিছ হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post