হযরত আবু বকর (রা.) এর সতর্কতা স্বরূপ বাগান ওয়াকফ করা।

ইবনে সীরীন (রহঃ) বলেন, যখন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)এর মৃত্যুর সময় নিকটবর্তী হইল তখন তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)কে ডাকিয়া বলিলেন, বাইতুল-মাল হইতে কিছু গ্রহণ করিতে আমার মন চাহিতেছিল না। কিন্তু ওমর (রাযিঃ) মানিলেন না এবং বলিলেন যে, ইহাতে কষ্ট হইবে আর আপনার ব্যবসায় মশগুল হওয়ার কারণে মুসলমানদের ক্ষতি হইবে। এইজন্য বাধ্য হইয়া আমাকে বাইতুল মাল হইতে ভাতা গ্রহণ করিতে হইল। এখন উহার পরিবর্তে আমার অমুক বাগানটি যেন দিয়া দেওয়া হয়। হযেরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)এর ইন্তিকালের পর হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হযরত ওমর (রাযিঃ)এর নিকট লােক পাঠাইলেন এবং পিতার অসিয়ত অনুযায়ী সেই বাগানটি দান করিয়া দিলেন। হযরত ওমর (রাযিঃ) বলিলেন, আল্লাহ তােমার পিতার উপর রহম করুন। তাহার উদ্দেশ্য হইল যে, কাহাকেও মুখ খুলিবার সুযােগই দিবেন না। (কিতাবুল আমওয়াল)

প্রতীকী চিত্রঃ খেজুরের গাছ


চিন্তা করার বিষয় এই যে, প্রথমতঃ উহার পরিমাণই বা কি ছিল যাহা হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) বাইতুল মাল হইতে লইয়াছেন। দ্বিতীয়তঃ উহাও বিজ্ঞ সাহাবাদের বারবার অনুরােধ ও মুসলমানদের স্বার্থের কারণেই লইয়াছিলেন। তদুপরি ইহাতেও যতটুকু সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করা সম্ভবপর ছিল তাহা করিয়াছেন, যেমন, একবার আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহুর  স্ত্রী কষ্ট করিয়া কম খাইয়া মিষ্ট খাওয়ার জন্য কিছু পয়সা জমা করিলেন, তাহাও তিনি বায়তুল মালে জমা করিয়া দিলেন এবং ঐ পরিমাণ ভাতা হইতে সব সময়ের জন্য কমাইয়া দিলেন। এই সব কিছুর পরেও শেষ কাজ এই করিলেন যে, যাহা লইয়াছিলেন উহারও বিনিময় দিয়া দিলেন।এই হলো আমাদের পূর্বপুরুষদের আরচন। আহ! হতেম যদি তাদের মতন!? 

Previous Post Next Post